যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় মামলা 

যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ এর সংজ্ঞানুসারে, যৌতুক অর্থ হচ্ছে বিবাহের এক পক্ষ কর্তৃক অন্য পক্ষের নিকট বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বশর্ত হিসাবে বিবাহের সময় বা তৎপূর্বে বা বৈবাহিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকাকালে, বিবাহ অব্যাহত রাখবার শর্তে, বিবাহের পণ বাবদ, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, দাবিকৃত বা বিবাহের এক পক্ষ কর্তৃক অপর পক্ষকে প্রদত্ত বা প্রদানের জন্য সম্মত কোনো অর্থ-সামগ্রী…

কপিরাইট আইনে মামলা

কপিরাইট (Copyright) এর অর্থ হচ্ছে মেধাস্বত্ব বা গ্রন্থস্বত্ব। অর্থাৎ কপিরাইট বলতে কোনো লেখক বা শিল্পী কর্তৃক তার সৃষ্টকর্মের উপর একটি নির্দিষ্ট সময়ে স্থায়ী আইনগত অধিকারকে বুঝায়। কপিরাইট আইনের বিধান অনুসারে কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্রতিকার চেয়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারী উভয় আদালতেই আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কপিরাইট লঙ্ঘনজনিত প্রত্যেক দেওয়ানি মামলা বা অন্য কোনো দেওয়ানি কার্যধারা সংশ্লিষ্ট…

যেভাবে তালাক প্রত্যাহার করা যায়

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশে তালাক প্রত্যাহার বা তালাক বাতিলের কোনো বিধানের উল্লেখ নেই। তবে সব ধরণের তালাকই প্রত্যাহারযোগ্য। তালাক উচ্চারণের মত প্রত্যাহারও যে কোন রকমে হতে পারে। চেয়ারম্যানের নিকট তালাক নোটিশ দেয়া হলেও চেয়ারম্যানের কাছে তা পৌঁছাবার দিন থেকে ৯০ দিন অতিবাহিত হবার আগ পর্যন্ত যে কোন সময় তা প্রত্যাহার করা যায়। এরমধ্যে…

তালাক কখন কার্যকর হয়?

তালাক উচ্চারণ করলেই কার্যকর হয় না। মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর বিধান অনুসারে যে কোন প্রকারেই তালাক উচ্চারণ করা হউক না কেন, তা চেয়ারম্যানকে নোটিশ দেওয়ার ৯০ দিন পরে কার্যকর হবে। চেয়ারম্যানের কাছে নোটিশ পাঠানোর অতি আবশ্যকীয় ব্যাপারই হচ্ছে তালাক কার্যকরের জন্য। কোন তালাক পূর্বে প্রত্যাহার করা না হয়ে থাকলে তা সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে নোটিশ…

সাকসেশন সার্টিফিকেট মামলা

মৃত ব্যক্তির বৈধ উত্তরাধিকার নির্ধারণের একমাত্র পন্থা হচ্ছে সাকসেশন সার্টিফিকেট বা উত্তরাধিকার সনদ। মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পত্তির মালিকানা নির্ধারণের জন্য বৈধ উত্তরাধিকারীগণ বিজ্ঞ আদালতে মিছ মামলা দায়েরের মাধ্যমে সাকসেশন সার্টিফিকেট লাভের জন্য আবেদন করতে পারেন। সাধারণত নিজেকে মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া স্থাবর সম্পত্তি, ব্যাংকে জমানো টাকা, কোম্পানির শেয়ার ডিভেঞ্চার, রয়্যালিটি ইত্যাদির বৈধ উত্তরাধিকার প্রমাণের…

এফিডেভিট বা হলফনামা কিভাবে করবেন?

এফিডেভিট বা হলফনামা (Affidavit) বলতে আমরা সাধারণত ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে হলফ বা শপথপূর্বক লিখিত বিবৃতি প্রদানকে বুঝি। প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের অনেক সময় এফিডেভিটের প্রয়োজন হয়ে থাকে। সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট ইত্যাদিতে নিজের নাম কিংবা মাতা-পিতার নামের ভুল সংশোধন, বয়স সংশোধন, কোনো সম্পত্তি হস্তান্তর করা ইত্যাদি কারণে প্রায়ই এফিডেভিট বা হলফনামার প্রয়োজন হয়। এফিডেভিট বা হলফনামা (Affidavit) যেভাবে করবেন…

বাংলাদেশের আইনে হিন্দু বিবাহ বিচ্ছেদ : বিবাহিত হিন্দু নারীর পৃথক বসবাস এবং ভরণপোষণের অধিকার

১৯৪৬ সালে প্রণীত The Hindu Married Women’s Right to Separate Residence and Maintenance Act, 1946 আইনে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে হিন্দু বিবাহিত নারীদের পৃথক বসবাস এবং ভরণপোষণ দাবীর অধিকার দেওয়া হয়েছে। এই আইনের ২ ধারার অধীন একজন হিন্দু বিবাহিত নারী বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে তাঁর স্বামীর নিকট থেকে পৃথক বসবাস এবং ভরণপোষণ দাবী করতে…

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল মামলা

সরকারি চাকরি সংক্রান্ত যে কোন বিষয় নিয়ে মামলা করার উপযুক্ত স্থান হল প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। প্রজাতন্ত্রের বা বিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের চাকুরীতে নিয়োজিত ব্যক্তির চাকুরী সংক্রান্ত যে কোন ধরণের বিরোধ প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৮০ এর ৩ ধারার অধীন প্রতিষ্ঠিত প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল নিষ্পত্তি করতে পারবেন। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল আইনের ৪ ধারায় প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার সম্পর্কে বলা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের চাকুরীতে চাকুরীরত…

বিশেষ ক্ষমতা আইন

বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু কার্যকলাপ প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে ১৯৭৪ সালে এই আইনটি প্রণীত হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ১৫ ধারায় অন্তর্ঘাতী কার্য (Sabotage)’র শাস্তির বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। এই আইনের ১৫ ধারায় বলা হচ্ছে, কোন ব্যক্তি কর্মক্ষমতা দুর্বল করা, কার্যকারিতা ব্যাহত করা কিংবা ক্ষতিসাধন করার উদ্দেশ্যে এমন কোন কাজ করবেন না; যেমন :…

বাঘ ও হাতি হত্যার শাস্তি

বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৩৬ ধারায় বাঘ ও হাতি হত্যার শাস্তির বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। ধারাটি হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলো :- বাঘ ও হাতি হত্যা, ইত্যাদির দন্ড ৩৬। (১) কোন ব্যক্তি ধারা ২৪ এর অধীন লাইসেন্স গ্রহণ না করিয়া তফসিল ১ এ উল্লিখিত কোন বাঘ বা হাতি হত্যা করিলে তিনি অপরাধ…

বাঘ, হাতি, কুমির, তিমি, পাখি বা পরিযায়ী পাখি ইত্যাদি বন্যপ্রাণী হত্যার শাস্তি

বন্যপ্রাণী আইনে বাঘ ও হাতি হত্যা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৩৬ ধারা অনুসারে, কোন ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতীত উল্লিখিত কোন বাঘ বা হাতি হত্যা করলে তিনি সর্বনিম্ন ২ (দুই) বৎসর এবং সর্বোচ্চ ৭ (সাত) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং সর্বনিম্ন ১ (এক) লক্ষ এবং সর্বোচ্চ ১০ (দশ) লক্ষ…

মানব পাচার অপরাধ ও শাস্তি

মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এর ৩ ধারার সংজ্ঞানুসারে, কোন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রদর্শন বা বলপ্রয়োগ করে কিংবা প্রতারণা করে বা উক্ত ব্যক্তির কোন অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে কিংবা তাঁর উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এমন ব্যক্তির সম্মতি গ্রহণ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে যৌন শোষণ বা নিপীড়ন বা শ্রম শোষণ বা অন্য কোনো শোষণ বা নিপীড়নের…

পর্ণোগ্রাফি অপরাধ ও শাস্তি

পর্ণোগ্রাফি আইনের সংজ্ঞানুসারে, যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোন অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য যা চলচ্চিত্র, ভিডিও চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোন উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যার কোন শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই; এবং যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী অশ্লীল বই, সাময়িকী, ভাস্কর্য, কল্পমূর্তি, মূর্তি, কাটুর্ন বা লিফলেট ইত্যাদি পর্ণোগ্রাফি…

মাদক আইনে বেআইনি অথবা হয়রানিমূলক তল্লাশি করার শাস্তি

সমগ্র দেশে মাদকদ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস, অপব্যবহার ও চোরাচালান প্রতিরোধ করার অভিপ্রায়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু মাদক উদ্ধারের নামে সাধারণ জনসাধারণের ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে কোনো ক্ষমতাপ্রাপ্ত অফিসার যদি বেআইনি বা হয়রানিমূলক তল্লাশি করে থাকেন তবে তিনি উক্ত আইনের ৩৯ ধারার অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে গণ্য হবেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন,…

অস্ত্র আইন, ১৮৭৮ এর ১৯/১৯ক ধারা

অস্ত্র আইন, ১৮৭৮ (The Arms Act, 1878) এর ১৯ ধারা অনুসারে, যদি কোন ব্যক্তি তবে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা অন্য যেকোন কঠোর কারাদণ্ডে যার মেয়াদ ৭ বছরের কম নয় এমন দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অস্ত্র আইন, ১৮৭৮ এর ১৯ক ধারায় বিশেষ কতকগুলি অস্ত্রের ব্যাপারে উক্ত আইনের ৬, ১৩, ১৪, ১৫ ধারা লংঘনের শাস্তির বিধান সম্পর্কে বলা…