এফিডেভিট বা হলফনামা (Affidavit) বলতে আমরা সাধারণত ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে হলফ বা শপথপূর্বক লিখিত বিবৃতি প্রদানকে বুঝি। প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের অনেক সময় এফিডেভিটের প্রয়োজন হয়ে থাকে। সার্টিফিকেট, পাসপোর্ট ইত্যাদিতে নিজের নাম কিংবা মাতা-পিতার নামের ভুল সংশোধন, বয়স সংশোধন, কোনো সম্পত্তি হস্তান্তর করা ইত্যাদি কারণে প্রায়ই এফিডেভিট বা হলফনামার প্রয়োজন হয়।
এফিডেভিট বা হলফনামা (Affidavit) যেভাবে করবেন :
যে ভুল সংশোধন করা প্রয়োজন কিংবা যা আপনি ঘোষণা দিতে ইচ্ছুক অর্থাৎ যে কারণে আপনি এফিডেভিট করবেন তা অবশ্যই ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে কোনো বিজ্ঞ আইনজীবী দিয়ে লিখিয়ে তাতে ছবি সংযুক্ত করে আপনি এফিডেভিট বা হলফনামা প্রদানকারী উক্ত এফিডেভিটে স্বাক্ষর দিয়ে সেটি ফটোকপি করে উভয় কপি একজন বিজ্ঞ আইনজীবীকে দিয়ে সত্যায়িত করে এখতিয়ার সম্পন্ন কোন প্রথম শ্রেণীর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উক্ত এফিডেভিট উপস্থাপন করতে হয়। উক্ত এফিডেভিট বা হলফনামা বিষয়ে বিজ্ঞ আদালত শুনানী অন্তে আপনার এফিডেভিটটি গ্রহণ (Accept) করলে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট মূল স্ট্যাম্পে রেজিস্ট্রি নম্বর বসিয়ে তাতে তাঁর স্বাক্ষর ও সীল সংযুক্ত করে এফিডেভিটটি আপনি এফিডেভিট প্রদানকারী বরাবরে প্রদান করবেন। অর্থাৎ আপনার এফিডেভিটটি হয়ে গেল যা আপনি যেখানে প্রয়োজন ব্যবহার করতে পারবেন।
উল্লেখ্য যে, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এফিডেভিটের একটি কপি জমা দিতে হয় যা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সংরক্ষিত থাকে। আপনি ইচ্ছে করলে এরূপ এফিডেভিটের বিষয়টি সর্বসাধারণের অবগতির জন্য পত্রিকায় দিতে পারেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এফিডেভিট সরাসরি কোন নোটারী পাবলিকের নিকট গিয়েও করানো যায়।
~ রাসেল বিশ্বাস
অ্যাডভোকেট,
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চট্টগ্রাম।
মোবাইল : ০১৭৪৬-০২২৫৫০
Discover more from Adv R. Biswas' Law Blog - Legal Articles, Advice & Opinions
Subscribe to get the latest posts to your email.