তালাক উচ্চারণ করলেই কার্যকর হয় না। মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর বিধান অনুসারে যে কোন প্রকারেই তালাক উচ্চারণ করা হউক না কেন, তা চেয়ারম্যানকে নোটিশ দেওয়ার ৯০ দিন পরে কার্যকর হবে। চেয়ারম্যানের কাছে নোটিশ পাঠানোর অতি আবশ্যকীয় ব্যাপারই হচ্ছে তালাক কার্যকরের জন্য। কোন তালাক পূর্বে প্রত্যাহার করা না হয়ে থাকলে তা সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে নোটিশ দেওয়ার ৯০ দিন পর কার্যকর হবে। এই অধ্যাদেশের ৭(১) ধারার বিধান অনুসারে তালাক কার্যকর হওয়ার তিনটি পূর্বশর্ত রয়েছে, যথা : ১) তালাক উচ্চারণ, ২) তালাক সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে নোটিশ প্রদান করা, এবং ৩) নোটিশের কপি স্ত্রীকে প্রদান করা। এইগুলির কোন একটি শর্ত অপূরণ থাকলে ৯০ দিন পরেও তালাক কার্যকর হবে না।
উল্লেখ্য যে, চেয়ারম্যানকে যে নোটিশ দেওয়া হবে, তারই একটি কপি স্ত্রীকে অবশ্যই প্রদান করতে হবে। স্ত্রীর ঠিকানা জানা না থাকলে পিতা-মাতা, ভাই-বোন কিংবা নিকটাত্মীয় বরাবর নোটিশ প্রদান করা যাবে।
তবে স্ত্রী কিভাবে স্বামীকে তালাক দিবেন?
তালাকের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতিতে উক্ত আইনের ৭ ধারার অধীন কোনো স্ত্রী তাঁর স্বামীকে তালাক নোটিশ প্রদান করে থাকেন।
আবার তালাক প্রদানকালে স্ত্রী যদি গর্ভবতী থাকেন, তবে ৯০ দিন বা গর্ভাবস্থার পরিসমাপ্তি, যা পরে ঘটে, না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না।
নোটিশ প্রদানের বিধান লংঘন করে তালাক দেয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এ উল্লেখিত উক্ত ৭ ধারায় তালাক নোটিশ প্রদানের বিধান লংঘন করলে তথা তালাক নোটিশ প্রদানের বিধান যথাযথভাবে পালন না করলে তিনি ১ বৎসর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে অথবা ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
~ রাসেল বিশ্বাস
অ্যাডভোকেট,
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চট্টগ্রাম।
মোবাইল : ০১৭৪৬-০২২৫৫০
Discover more from Adv R. Biswas' Law Blog - Legal Articles, Advice & Opinions
Subscribe to get the latest posts to your email.