বাঘ, হাতি, কুমির, তিমি, পাখি বা পরিযায়ী পাখি ইত্যাদি বন্যপ্রাণী হত্যার শাস্তি

Photo by Stephan Streuders on Pexels.com

বন্যপ্রাণী আইনে বাঘ ও হাতি হত্যা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৩৬ ধারা অনুসারে, কোন ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতীত উল্লিখিত কোন বাঘ বা হাতি হত্যা করলে তিনি সর্বনিম্ন ২ (দুই) বৎসর এবং সর্বোচ্চ ৭ (সাত) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড এবং সর্বনিম্ন ১ (এক) লক্ষ এবং সর্বোচ্চ ১০ (দশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।

বাঘ ও হাতি হত্যার ক্ষেত্রে এই আইনে শর্ত থাকে যে, বাঘ বা হাতি কর্তৃক কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হলে এবং তার ফলে উক্ত ব্যক্তির জীবনাশঙ্কার সৃষ্টি হলে জীবন রক্ষার্থে উক্ত আক্রমণকারী বাঘ বা হাতিকে হত্যার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না।

এই আইনে আরও বলা আছে যে, কোনো ব্যক্তি কোন বাঘ বা হাতির ট্রফি, অসম্পূর্ণ ট্রফি, মাংস, দেহের অংশ সংগ্রহ করলে, দখলে রাখলে বা ক্রয় বা বিক্রয় করলে বা পরিবহন করলে, তিনি সর্বোচ্চ ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত করাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩ (তিন) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

উক্ত আইনের ৩৭ ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি তফসিল ১ এ উল্লিখিত কোন চিতা বাঘ, লাম চিতা, উল্লুক, সাম্বার হরিণ, কুমির, ঘড়িয়াল, তিমি বা ডলফিন হত্যা করলে তিনি সর্বোচ্চ ৩ (তিন) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩ (তিন) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

উক্ত ধারায়ও আত্মরক্ষার অধিকারের বিধান রাখা হয়েছে।

বন্যপ্রাণী আইনের ৩৮ ধারায় পাখি বা পরিযায়ী পাখি ইত্যাদি হত্যায় দণ্ডের বিধান রয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি তফসিল ১ ও ২ এ উল্লিখিত কোন পাখি বা পরিযায়ী পাখি হত্যা করলে তিনি সর্বোচ্চ ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা সর্বোচ্চ ১ (এক) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।

অত্র আইনে একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর জন্য অধিকতর দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

~ রাসেল বিশ্বাস
অ্যাডভোকেট,
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চট্টগ্রাম।
মোবাইল : ০১৭৪৬-০২২৫৫০


Discover more from Adv R. Biswas' Law Blog - Legal Articles, Advice & Opinions

Subscribe to get the latest posts to your email.

One Comment Add yours

Leave a comment